ঢাকার ধামরাইয়ে ফেসবুকে হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ, এসময় তার মা-বাবা ও বড় ভাইকে মারধর করে আহত করেছে বখাটেরা। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানার নতুন দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে এঘটনায় ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার বাবা বিমল দাস। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
আহত সজীব দাস সজল ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের ঢাকা জেলার সভাপতি সাইদুল ইসলাম। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা সজল বলেন গতকাল আমার বাসার সামনে আমার কর্মী নাজমুলকে মারধর করতে দেখে আমি বাধা দেই। তখন জানতে পারি, ফেসবুক গ্রুপের কোনো এক পোস্টে নাজমুল হাহা রিঅ্যাক্ট দিয়েছিলো। এটা নিয়েই বিতর্কের জেরে নাজমুলকে মারধর করছিলো রিপনসহ কয়েকজন। পরে আমি ওদের মিলিয়ে দেই। বিষয়টা নিয়ে আবারও এলাকায় মিমাংসা করা হয়। কিন্তু আজ দুপুরে আমার ভাইকে বাড়ির পাশেই রাস্তায় মারধর করতে থাকেন রিপন, হালিম, সেলিমসহ কয়েকজন বখাটে। এরপর বাবা, মা ও আমি বাধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করে বখাটেরা। এসময় আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়।
লাঞ্ছিত করা হয় মা-বাবাকে। পরে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে আমাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে টার্গেট করেই মারা হয়েছে।’ ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, দুইপক্ষের মধ্যেই ঝামেলা হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিবাদীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ দিয়েছে। আগামীকাল বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।